লাইফস্টাইল পরিবর্তন

কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায় -Bdtrends

জীবন উন্নত করতে লাইফস্টাইল পরিবর্তন এর বড় ভূমিকা রাখে।আপনি কি করে আপনার life কে আরও বেটার করতে পারেন এটা নিয়ে চিন্তিত আছেন।জীবনধারা পরিবর্তন করতে হলে উচ্চ বিলাসিতা প্রয়োজন নাই।পরিবর্তন এমনিতে হবে যদি ঠিক মতো ফলোআপ করতে পারি তাহলে।

Change আসুক বাস্তবসম্মত ভাবে,আপনার শারীরিক, মানসিক ভাবে জীবনে উন্নত করতে হলে ছোট ছোট অনেক পরিবর্তন আনতে হবে।

পরিবর্তন করতে হলে আমরা অনেক বড় কিছু পরিবর্তন করতে চেষ্টা করি যেটা শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ছোট থেকে শুরু করুন আপনার পরিবর্তন। যা করবেন ধীরেধীরে করবেন, শরীরের সহনীয় ভাবে কাজ করলে আপনার পরিবর্তনে আপনার বডির হরমোন আপনার হয়ে কাজ করবে।

কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়?

পরিবর্তন আসবে জীবনে যদি আপনার পরিকল্পনাকে বাস্তবসম্মত ভাবে সফল করতে পারেন তাহলে। আপনি সাঁতার না জেনে পুকুরে নামলে আপনি ডুবে যাবেন, সাঁতার শিখে নামলে আপনি ডুববেন না সহজে।

পরিবর্তন আনতে হলে এগুলো মানতে চেষ্টা করুন দেখবেন সহজেই আপনি পরিবেশ এর সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন

স্বাস্থকর খাবার:

খাদ্যবাস আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক ভারি আর হাল্কা খাবার খেয়ে থাকি।যে খাবার খাওয়া উচিত না সেটাও খেয়ে থাকি। আমরা চোলা, পিয়াজু, এসব খাবার খেতে পছন্দ করি।এগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর একটা দিক।

আপনি কি জানেন স্বাস্থ্যকর খাওয়া জটিল বিষয় নয়! চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না, সম্ভব হলে লবণ জাতীয় খাবার খেতে হবে। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় ফল, শাকসবজি, দুধ, চর্বিহীন প্রোটিন (মাছ, মুরগি, লেবু এবং বাদাম) এসব খাবার আপনার খাদ্যের তালিকায় রাখুন।

এসব খাবার আপনার শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্যে করবে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনার পরিচিত কোন পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যের তালিকা তৈরি করা।

খাদ্য মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। ফল এবং শাকসবজি ইতিবাচক অনুভূতি বাড়াতে সাহায্যে করে থাকে।

নিয়মিত ব্যায়াম:

আমরা দৈনন্দিন জীবনে যাই করি না কেন ব্যায়ম আমাদের করা হয় না তেমন। ব্যায়াম করতে আমাদের সময় নাই, তবে ব্যায়াম ছাড়া আমাদেরকে পরিবর্তন সম্ভব না। ব্যায়াম আমাদের শরীরে পেশীকে শক্তিশালি করতে সাহায্যে করে থাকে।

ইউরোপ কান্টি লোকেরা রেগুলার ব্যায়াম করে থাকেন। তারা মনে করে ব্যায়াম তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ। যদি ডেইলি ব্যায়াম করার সময় না পান তাহলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১২০- ১৮০ মিনিট মতো ব্যায়াম করুন।

ব্যায়াম মানে জীমে যাওয়া না, ব্যায়াম আপনি ঘরে বসে করতে পারেন ইউটিউব এর সাহায্যে নিয়ে।

ব্যায়াম করতে জানতে হবে না, প্রয়োজনে আপনি হাটুন, একটু দৌড়াদৌড়ি করুন।এটাই আপনার জন্য ব্যায়াম!

গুগল প্লে স্টোর থেকে ও আপনি ব্যায়াম করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন। এগুলো ব্যাবহার করে আপনার শারীরিক ব্যায়াম শুরু করতে পারেন।

ঘুম:

ঘুম সব পরিশ্রম এবং সারাদিন এর ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। রাতে একটা ভালো ঘুম আপনার দিনটা ভালো করতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আপনার ডেইলি কাজে বাঁধা সৃস্টি করতে পারে।

প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের। ঘুমালে আপনার মস্তিষ্ক রেস্ট পাই। ঘুমানো আগে ৩০ মিনিট মতো বই পড়তে পারেন,ইন্টারনেটে মোবাইল, টেলিভিশন এসব থেকে দূরে থাকবেন এগুলো আপনার ঘুমকে নষ্ট করতে বাঁধা সৃস্টি করে।

ধূমপান না করা:

নেশা মানুষকে ধ্বংস দিকে নিয়ে যায়। আপনার মনে আসতে পারে এটা তো নেশা না, এটাতো জাস্ট একটা সিগারট।

সিগারেট হলো নেশার প্রথম ধাপ, এটি আপনার শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি কারি উপাদান হিসাবে কাজ করে থাকে। স্বাস্থ্যের জন্য হলেও এটা ত্যাগ করা উচিৎ যদি আপনার সিগারেটের নেশা থেকে থাকে তাহলে।

হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করবে, আপনার যদি হৃদরোগ থেকে থাকে তাহলে এটা আপনাকে মরণের দিকে নিয়ে যাবে আস্তেধীরে। আপনি সিগারেট খাওয়া বন্ধ করার পর দেখবেন আপনার উন্নতি হচ্ছে আস্তেধীরে।

মানসিক চাপ :

আমরা দিনবা দিন মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি কারণ আমাদের দিনটা ভালো যায় না। বাসায় থাকলে, বউয়ের বিরক্তিকর কথা অফিসে থাকলে বসের বিরক্তিকর বকবকানি।এসব আমাদেরকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে সাহায্যে করে থাকে।

আপনি যদি বেকার থাকেন তাহলে এটাও অনেক বড় ভূমিকা রাখে। বেকার মানুষের মানসিক চাপ বেশি থাকে কারণ তাদের আর্থিক সমস্যা বেশি থাকে।

আপনি যদি মানসিক ভাবে চাপে থাকেন তাহলে সবার আগে ওটা ফাইন্ড আউট করুন। কি করাণে আপনার সমস্যা হচ্ছে। সমস্যার সমাধান করতে হলে কারণটা ধরতে হবে।

মানসিক চাপের কারণ নির্ধারণ করার পর সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।চাপ আমাদের হেল্থ এর ও অবনতি করে থাকে।খাবার খেতে মন চাই না,খেলতে মন চাই নূা ঘুরতে মন চাই না ইত্যাদি নানান সমস্যা লেগে থাকে শরীরে।

অতীত নিয়ে চিন্তা না করা:

অতীত আমাদের কে ভালো কিছু ভয়ে আনে না। আপনার অতীতের ভালো মন্দ সব কিছু ত্যাগ করুন, অতীত নিয়ে বসে থাকলে আপনার কষ্ট ছাড়া কিছু পাবেন না।

মানুষের জীবন পিছিয়ে দিতে সাহায্যে করে অতীত। অতীত হলো আপনার বিতাড়িত কাল, বর্তমান হলো আপনার, যেটা এখন করতেছেন, করবেন। বর্তমান নিয়ে চিন্তা করুন অতীত কে না বলুন।

অতীতে আপনাকে কেউ কষ্ট দিয়েছে তাহলে বর্তমানে আপনি থাকে ক্ষমা করে দিন অতীত নিয়ে চিন্তিত থাকবেন না। অতীত আপনাকে কষ্ট দিলে সেটাকে আপনার ডাল হিসাবে ব্যবহার করুন।

সবকিছুর সমাধান আছে,যদি আপনি সেটা করতে পারেন তাহলে। সমস্যা কে আপনার কাছে রাখলে সমাধান হবে না। সমস্যার সাথে লড়াই করে আপনাকে জয়ী হতে হবে তাহলে আপনি পরিবর্তন এর দিকে ধাবিত হবেন।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা:

আপনি যদি কিছু অর্জন করতেছেন তাহলে আপনার লক্ষ্য কে নির্ধারণ করে নিন।এমন অর্জন করতে চান যেটা আপনার পক্ষে সম্ভব, এমন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করুন।

আমরা প্রথম ধাক্কা খাই সেটা হলো আমাদের স্পেসিফিক কোন টার্গেট থাকে না। আমরা কি চাই আমরা নিজেও জানি না।আপনার যদি কোন লক্ষ্য নির্ধারিত না থাকে বা কি করতে চান সেটাও যদি স্পেসিফিক ভাবে ধারণা না থাকে তাহলে গুগল এর সহয়তা নিন।

গুগল আপনাকে শিখাবে কি করে আপনার লক্ষ্য অর্জন করা যায়।

নিজেকে মোটিভেট রাখুন:

নিজেকে মোটিভেট রাখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজে যদি ডেমোটিভেট হয় তাহলে তো সফলতার দেখা পাবো না আমরা। নিজেকে বলতে হবে আমি পারবো, আমার দ্বারা এইকাজ গুলো করা সম্ভব, আমিই বেস্ট।

আরও পড়তে পারেন:

খারাপ সময়ের পর ভালো সময় আসে: জীবন নিয়ে আশা রাখার (৫টি কারণ)

১০ টি ভালো অভ্যাস আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে

নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয়: সাফল্যের জন্য নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করুন

সবসময় নিজেকে সেরা হিসেবে বিবেচনা করুন, যদিও আপনি সেরা না হন তাহলেও। ভালো বন্ধু তৈরি করুন,ভালো বন্ধু আপনাকে সবসময় পজিটিভ মাইন্ডসেট নিয়ে কথা বলবে।ভালো পরামর্শ দিবে,খারাপ বন্ধু থেকে পরিহার করুন। মনে রাখবেন ভালোর সাথে স্বর্গবাস অসতের সাথে স্বর্বনাশ।

নিজেকে পুরস্কৃত করুন :

আমরা অন্যের জন্য বেঁচে থাকি।নিজের জন্য বাঁচি না, নিজের জন্য কাজ করি না সবই অন্যাের জন্য করে থাকি।

আপনি যা কাজেই করুন না কেন নিজেকে অনুপ্রেরণা দিন এবং পুরুষ্কিত করুন। যখন জীবনে হতাশা আসবে তখন আপনার কিছু ভালো লাগবে না। ভালো না লাগলেও আপনি আল্লাহ প্রতি কৃতজ্ঞ জানান, সবসময়ই আল্লাহ আমাদের কে সরল পথ দেখায়।

যদি নিজেকে খুঁজে পেতে চান, তবে অসহায়দের সাথে সময় কাটান ।

আপনার পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটান:

পোষা প্রাণী আমাদের জন্য খুব উপকারী, তারা আমাদের সাথে মিশতে চাই খেলা করতে চাই। আপনি জেনে অবাক হবেন আপনি যখন মানসিক চাপে থাকেন, তখন এই প্রাণী গুলো আপনাকে একই ভাবে ভালোবাসবে। তাদের ভালোবাসার জন্য টাকার প্রয়োজন হয় না, তাঁরা এমনিতে ভালোবাসবে আপনাকে নিশার্থে

এই প্রাণী আপনার জীবনে একটা ট্রানিং পয়েন্ট হিসাবে ও কাজ করবে। আপনার মেজাজ কে কন্টোল করতে সাহায্য করবে।আপনার যদি পোষা প্রাণী না থাকে তাহলে আজকে থেকে পালন করতে পারেন, পোষা প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে ভালো প্রাণী হলো কুকুর। কুকুর মানুষের সাথে ভালে মতো মিশতে পারে।

হাসিখুশী থাকুন:

হাসিখুশী মানুষ কে সবাই ভালোবাসে। হাসিখুশি থাকলে মন ও এমনিতে ভালো হয়ে যায়। হাসতে জানলে জীবনে অনেক জিনিসই এর সমাধান হয়ে যায় অনায়েসে। যে হাসতে জানে না সে মানসিক চাপে থাকে।হাসতে জানা মানে হলো

সেই সফল যে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সফল মানুষেরা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাদের মাইন্ড তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সর্বশেষ:

এই পোস্ট থেকে আপনারা জানবেন কি কি করলে আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়, উপরে বর্ণিত সব উপায়ে কাজ করলে আপনার লাইফের চেঞ্জ অতি সহজ করতে পারবেন। পরিবর্তন আসবে যদি আপনার মন পরিবর্তন এর জন্য রেডি থাকে তাহলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *