নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয়

নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয়: সাফল্যের জন্য নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করুন

প্রতিনিয়ত আমরা বিশ্বাস করে থাকি সমাজ, পরিবার, আশেপাশের লোকজন এবং আত্মীয় স্বজন আমাদের চলার পথ দেখিয়ে দিবে, কোন পথে চললে আমাদের জীবন সফল হবে। আপনি কি জানেন এই ধারণা একদম ভুল সত্যিকারের সাফল্য খুঁজে পেতে হলে অন্যের নির্দেশনা নয় বরং নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয়।

কথায় আছে সময়ের এক ফুট, অসময়ের দশ ফুট।আমাদের পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরপরই আমরা চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। এগুলো আমাদের জন্য সব থেকে ভুল কাজর মধ্যে একটি।সঠিক কাজ আমাদের কে শেখানো হয় না বলে আমরা পড়াশোনা শেষ করেও লম্বা সময়ের জন্য বেকার থাকি।

এই ব্লগপোস্টে আমরা আলোচনা করব, কীভাবে আপনি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিজস্ব পথ তৈরি করতে পারেন এবং সেই পথেই সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে পারবেন সহজে।

নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করুন – এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সাফল্য সবসময় দেখানো পথে আসেনা। নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করার মাধ্যমে আসে।নিজের রাস্তায় আপনি স্বাধীনভাবে চলার এবং নিজের সিদ্ধান্তে নেওয়ায় সুযোগ পাবেন। কারো দেখানো পথে এই সুযোগ পাওয়া যায় না। নিজস্ব লক্ষ্য পূরণের জন্য নিজের পথ তৈরি করার কিছু বিশেষ প্রয়োজনীয়তা আছে:

স্বাধীন চিন্তা: নিজের পথে নিজে চললে আপনি স্বাধীন চিন্তা করার সুযোগ পাবেন। আপনাকে বাঁধা দেওয়ার লোক থাকবে না। এটা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট, স্বাধীন চিন্তা মানুষকে, স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ এর পাশাপাশি সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

আমাদের জীবনে অনেক সিদ্ধান্ত পারিবারিক ভাবে আসে তবে, সব সিদ্ধান্তঃ পারিবারিক বা সমাজের চাপানোর সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত নই।মানুষকে স্বাধীনতা দিতে হবে।

যখন আপনি নিজেই নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নেন, তখন আপনার চিন্তাশক্তি মুক্ত থাকে এবং আপনার সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্যে করে।

কারো দেখানো পথে অবলম্বন না করা: আপনাকে যে পথা দেখাবো সে কতটা সফল সেটা আগে দেখুন।অন্ধ,আরেক অন্ধকে আলো দেখাতে পারে না। আপনাকে যে পথ অবলম্বন করতে বলতেছে সে কতটা সফল সেটা আগে বিবেচনা করুন,আমরা সচারচর বাপ-দাদার আমলে প্রচলিত পথে চলতে চেষ্টা করি বা চলে থাকি।

প্রচলিত পথে চলতে গেলে অনেক সময় অন্যের ছায়ায় হারিয়ে যাই।আপনার মন বলবে এই পথটি আপনার জন্য সঠিক,আদৌও কি এই পথ আপনার জন্য সঠিক! তবে নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করলে আপনি নিজেই নেতৃত্ব দিতে পারেন, ভালো মন্দ সব ডিসিশন আপনি নিজেই নিতে পারবেন। নিজের নেওয়া ডিসিশন যেমন ঝুঁকি আছে তেমনি সাহসের ও প্রয়োজন লাগে।

কীভাবে নিজের লক্ষ্য ঠিক করবেন

পথ তৈরি করতে হলে আপনার লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে, কি করলে আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে, আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনার লক্ষ্য থাকা উচিত বুয়েট কিংবা মেডিকেল এর মতো জায়গার চান্স পাওয়া। শুধু মাত্র এ+ আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত না।অনেক এ+ পাওয়া ছাত্র বেশি দূরে এগোতে পারে না আবার অনেকে মাঝ পথে হাল ছেড়ে দেয়।

ছাত্র অবস্থায় আপনাকে নিদিষ্ট লক্ষ্য কাজ করা উচিৎ তাহলে ভবিষ্যতে আপনি অনেক দূরে এগোতে পারবেন।একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য না থাকলে, আপনি কোথায় যেতে চান তা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

নিজের passion খুঁজে বাহির করা:

আমরা জানি না আমাদের passion কি। কাজ করবো পরে তার আগে আমাদের passion খুঁজে বাহির করতে হবে। আপনি কোথায় শান্তি খুঁজে পান সেটা বাহির করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।অনেকেই ক্রিকেট খেলে আনন্দিত হয় এবং এটাকে ক্যারিয়ার করতে চেষ্টা করে।আবার অনেকে অনলাইনে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে নিজেকে উপস্থাপনা করতে ভালো লাগে। আমি অনেক ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার দেখেছি তারা ডাক্তারি না করে ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরী করতে পছন্দ করে থাকেন।

আমরা ও একই কথা বলি আপনি আপনার Passionate কে জাগিয়ে তুলুন। আপনি যে কাজে দক্ষ বা Comfortable মনে করেন সেটাকে নিয়ে কাজ করে থাকুন।

আপনি যদি ব্যাংকার হতে মন চাই তাহলে আপনি সায়ন্স নিয়ে পড়া শোনা করার কোন মানে নাই। সারাবছর রসায়ন আর পদার্থবিজ্ঞান পড়ে নিজেকে না ঝালিয়ে অন্য একটা সাবজেক্ট নিয়ে পড়ে নিজেকে তৈরী করুন।

সোজা কথা বলতে গেলে কোন কাজগুলো সবচেয়ে বেশি আপনাকে আনন্দ দেয়, কোন কাজে আপনি সময় দিতে ভালোবাসেন—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন। যে কাজে আপনার প্যাশন রয়েছে, সেটিই হতে পারে আপনার সত্যিকারের লক্ষ্য।

শর্ট-টার্ম লক্ষ্য:

নিজের লক্ষ্য ঠিক থাকলে বিভিন্ন ধরনে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করুন। আপনি নিজেকে একজন সফল বিজনেস ম্যান হিসাবে দেখতে চান তাহলে এই অনুযায়ী আপনার লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। যদি ভালো ব্যাবসায়ি হতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন টার্মে আপনাকে কাজ করতে হবে, শর্ট টার্ম, মিড টার্ম এবং লং-টার্ম ইত্যাদি নিয়ে।

শর্ট টার্ম মানে শর্টকার্ট না। অনেক কাজ আপনাকে শর্ট টামে করতে হবে, ডেইলি কাজ ডেইলি করতে হবে।আজকের কাজ কালকের জন্য করলে হবে না। যখনের কাজ তখন করাকে শর্ট টার্ম কাজ বলে।

আপনি নিজেকে ৫ বছর পর কোথায় দেখতে চান সেটা নির্ভর করে আপনার কাজের ওপর। নিজেকে পরিবর্তন এর স্থান দেওয়ার জন্য কাজ অপরিসীম। আপনি প্রতিমাসে ১ লক্ষ্য টাকা আয় করতে চাচ্ছেন তার জন্য আপনাকে লক্ষ্য ঠিক করে বিভিন্ন ভাবে কাজ করতে হবে।চাইলে তো আপনি লক্ষ্য টাকা আয় করতে পারবেন না। লক্ষ টাকা আয় করার জন্য আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতে হবে। একসময় এসে এর ফল পাবেন।

লং-টার্ম লক্ষ্য:

বড় বড় স্বপ্ন পূরণের জন্য ছোট ছোট ধাপ তৈরি করা যেমন গুরুত্ব। ছোট ধাপের জন্য প্রয়োজন লং-টার্ম এর পরিকল্পনা।বড় পরিকল্পনা শেষ করতে ছোট ছোট কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।একটু আগে আমরা আলোচনা করেছি কি করে ১ লক্ষ টাকা আয় করা যায়, লক্ষ টাকা আয় করা সহজ না নতুন অবস্থায়।

লক্ষ টাকা আয় করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে। আপনি আজকে পরিকল্পনা করলেন এটার ফল পাবেন ২-৩ বছর পর। এই ২-৩ বছর কষ্টের ফল হিসাবে আপনি প্রতিমাসে গড়ে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

রিসার্চ করা:

আপনি লং-টার্ম পরিকল্পনা শেষ করেছেন এবার আপনার প্রয়োজন রিসার্চ। কি কাজ করলে আপনি লক্ষ টাকা আয় করে সফল হতে পারবেন। এটা নিয়ে রিসার্চ করতে হবে।গুগলে,ইউটিউবে এবং বিভিন্ন বই পড়ে আইডিয়া তৈরি করুন। আইডিয়ার তৈরি করা খুব উপকার আসে সফল হওয়ার জন্য।

বিশেষ করে যারা সফল হয়েছেন তাদের গল্প এবং তাদের লেখা বই পড়ুন। কীভাবে তারা তাদের পথ তৈরি করেছেন তা জানুন এবং সেটি থেকে শিক্ষা নিন। শিক্ষা নিবেন তাদেরকে অনুসরণ নিয়ে কাজ করবেন না। বিল গেটস এর মতো খাবার, লাইফস্টাইল করে আপনি বিল গেটস হতে পারবেন না। তাদের জীবনি আমাদেরকে শিখায় কি করতে হবে তাহলে সফল হওয়া যাবে।

নিজের পথ তৈরি করার সময় যে চ্যালেঞ্জগুলো আসতে পারে?

কাজ করবেন বিপদে পড়বেন না এমন তো হতে পারে না। বিপদ তো আসবে, এগুলো বিপদ না এগুলো আপনার সফলতার চাবিকাঠি।

আমাদের দেশে কেউ উপরে ওঠতে গেলে তাকে নিচে নামানোর জন্য হাজার হাজার লোক আছে, আপনি আমি ব্যাতিকম না।

নিজের পথ তৈরি করতে গেলে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। সবার আগে পড়তে পারেন সমাজের চাপ, সমাজ আপনাকে বাহির হতে দিবে না তাদেরকে প্রচলিত নিয়ম থেকে। সামাজিকভাবে একটা হেনস্থা শিকার হতে পারেন কম আর বেশ তবে আপনি থেমে থাকবেন না।

নিজেকে আত্নবিশ্বাসী হতে হলে নিজের পরিকল্পনা ওপর জোর দিতে হবে। অনেক চাপ আসবে, মানসিক চাপ,পারিবারিক চাপ, বন্ধু চাপ, শয়তান এর চাপ কতো রকমের চাপ ইত্যাদি।

সমাজ আপনাকে নিয়ে একদম গর্ব করবে যেদিন আপনি সফল হবেন।সফল না হওয়ার পর্যন্ত আপনাকে নিয়ে হেনস্থা করতে থাকবে।

সামাজিক চাপের পর আসবে ব্যর্থতার ভয়। দৈনন্দিন জীবন চলতে গেলে আমাদের অনেক ব্যর্থতা আসে এটা স্বাভাবিক। আপনি ভালো কাজ করতে যাবেন আপনি ব্যর্থ না হয়ে সফলতার মুখ দেখবেন না সহজে। সফল হয়েছে যারা তারা হাজারো ব্যর্থতাকে কাটিয়ে নিজেকে বাহির করতে পেরেছে এই জায়গা থেকে। তাই তারা সফল হ’য়েছে।

আমি বিশ্বাস করি আলো আছে আড়ালে, ভয় পালাবে যদি আপনি রুখে দাড়ান। নিজের পথে চলতে গেলে ব্যর্থতা আসবে। তবে এই ব্যর্থতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যে যত বেশি চেষ্টা করবেন তত বেশি শিখতে পারবেন।

ব্যর্থটা একটা পরিক্ষা মাত্র। এই পরিক্ষায় আপনাকে সফল হতে হবে।

ব্যর্থতার পরে আসবে অর্থনৈতিক চাপ।এই চাপ সামলানো কষ্টকর তবে সামলানো সম্ভব। সব বাঁধা অতিক্রম করতে আপনার মনকে শক্ত করতে হবে, শক্ত মানুষ ভেঙে পড়ে না সহজে। একটা জিনিস মনে রাখবেন, ছোট বাচ্চারা হাটতে গেলে পরে যায় আবার ওঠে দাড়ায়, আবার হাঁটে এইভাবেই ওরা হাটা শিখে। আপনিও আপনার ফিল্ডে নতুন একজন। নতুন ফিল্ডে কাজ করতে গেলে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়।

যত ওঠানামা করবেন ততই মজবুত হবেন।কোন একদিন আপনার কাছে ধরা দিবে সোনার ডিম দেওয়া হাঁস।

আর্থিক সমস্যার সমাধান হলে তার পর আসবে নেগেটিভ মন্তব্য করা। অনেকে বলবে তোমার ধারা কিছু হবে না। তুমি কিছু করতে পারবে না এটা বেশি বলে কাছের মানুষজন। আমি এখনো জানতে পারলাম না ওদের এসব বলার মানিটা কি। আপনাকে নেগেটিভ মন্তব্য করে ওরা কি মজাটা পাই তাদের তো কোন স্বার্থ নাই।

তাহলে এমন কাজ করার কারণ কি। আপনি তাদের কথাকে কান না দিয়ে আপনার কাজে মনোযোগি হন। নেগেটিভ মন্তব্য থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে।

এসবের পরে আপনাকে যেটা বেশি বেশি করতে হবে সেটা হলো কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের পরিচয়। আপনি ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম করতে পারলে ওরা আপনাকে কিছু করতে পারবে না। পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছে কেউ এক রাতের মধ্যে পায়নি সফলতা। আপনিও পাবেন না, বিল গেটস থেকে শুরু করে আলিবাবার প্রতিষ্টতা জ্যাক মা বলেন কেউ রাতারাতি সফল হন নাই।

তারা সফল হ’য়ে ধৈর্য ও অধ্যবসায় কে কাজে লাগাতে পেরে।কোনো কাজে সফলতা পেতে গেলে ধৈর্য ধরে লেগে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যতোই কঠিন হোক না কেন, যদি লেগে থাকেন তবে সফলতা আসবেই।

কেউই পারফেক্ট নয় ভুল করলেও হতাশ না হয়ে সেটি থেকে শিক্ষা নিন এবং আরও ভালো করার চেষ্টা করুন। দেখবেন একদিন আপনি সফল হবেন।

নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয় কেন?

নতুন কিছু করার সময় আমরা নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসি হতে পারি না।কিন্তু নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করতে হলে আত্মবিশ্বাস থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারবো? এমন প্রশ্ন নিজেকে করে দেখুন। মন আপনাকে কেমন উওর দেয়।

সাফল্যের রাস্তা সহজ না। এই রাস্তা পাড়ি দিতে হলে আপনাকে হাজারও ব্যর্থতার মাইল অতিক্রম করতে হবে। তারপরে আপনি অর্জনের ফল পেতে হবে। এগুলো ডেইলি রুটিনে তালিকা করে ফেলুন।

  • রাত জাগা বন্ধ করুন। রাত আমাদের ভিতরে সিস্টেম কে নষ্ট করে ফেলে।
  • সকালে আর্লি ঘুম থেকে ওঠতে চেষ্টা করুন। সকাল আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
  • বই পড়া। প্রতিদিন বই পড়লে আপনি যা শিখতে পারবেন সেটা আপনি ৪ ঘন্টা ইউটিউব ঘাটলে ও শিখতে পারবেন না।
  • সোশাল মিডিয়া পরিহার করা। সোশাল মিডিয়া আমাদের জন্য খারাপ একটা অভ্যাস।
  • খাবারের তালিকা পরিবর্তন করা।এমন কোন খাবার খাওয়া উচিত না যে খাবারের আমাদের শরীরের অলস বা খারাপ হতে পারে।
  • ভালো মতো ঘুমানো। ভালো ঘুম মানে ভালো স্বাস্থ্য।
  • ব্যায়াম করা।প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট মতো ব্যায়াম করা।
  • ভালো বন্ধু তৈরি করা। ভালো বন্ধু আপনাকে ভালো কিছু শিখাবে।খারাপ বন্ধু আপনাকে তেমন কিছু শিখাতে পারবে না তবে সময় লস করাবে।
  • সময় লস হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। সময় লস মানে আপনার পুরো দিনের পরিকল্পনা নষ্ট হওয়া।
  • ডেইলি রুটিন তৈরি করা, ডেইলি রুটিন আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
  • ঘুমানোর আগে পরের দিনের পরিকল্পনা খাতায় লিখে রাখা।সকালে ঘুম থেকে ওঠে ওই রুটিন নিয়ে কাজ করা।
  • এই ওয়েবসাইট বিভিন্ন মোটিভেশনাল কনটেন্ট পাবেন যা আপনার জন্য উপকারি, এই কনটেন্ট গুলো একবার পড়লে আপনার অনেক অজনা জিনিস জানতে পারবেন।যা আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে।
  • কমিউনিকেশন নিয়ে কাজ করা জুরুরি। নিজেকে যত দক্ষ হিসেবে তৈরি করতে পারবেন ততই আপনি সামনে এগোতে পারবেন।
  • কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
  • নিজেকে বলুন আমি পারবো, আমার পক্ষে এই কাজটা করা সম্ভব।
  • অন্যর সাথে নিজেকে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে।
  • নিজেকে গুরুত্ব দিতে হবে, নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য নিজেকে তৈরী করতে হবে।
  • সময়ের কাজ সময় মতো করা।
  • প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজকে অর্জন করে নিজেকে উৎসাহিত করুন।
  • পরিবেশ পরিবর্তন করুণ, নিজের পথ তৈরির মূল কারিগর হলো আমাদের পরিবেশে।
  • আমাদের সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে।আপনাকে সাপোর্ট করে এমন মানুষকে আপনার কাছের মানুষ ভাবতে শিখুন।
  • ভ্রমণ কর। ভ্রমন মানুষকে বাঁচতে শেখায়। ভ্রমন মানুষকে নতুন কিছু শেখায়।

নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করার সহজ নয়। এটি আপনাকে অনেক দূরে নিয়ে যাবে।এই রাস্তা পাড়ি জমাতে হলে অনেক কিছু ত্যাগ শিকার করে করতে হবে তার পরে আপনার স্বপ্ন পূরণের সহয়তা হয়ে উঠবে। জীবনের চ্যালেঞ্জ গুলোকে মোকাবিলা করার জন্য আপনার ধৈর্য, পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন। আজকে আপনার একটা ডিসিশন আপনাকে পরিবর্তন আনতে সাহায্যে করবে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না, আপনার যেকোনো মতামত আমাদের জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে আমাদের ওয়েবসাইট উন্নত করতে সাহায্যে করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *