পৃথিবীর সেরা মোটিভেশনাল গল্প যা আপনার জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে
আমাদের এই পৃথিবীতে অনেক বিপ্লব হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো শিল্প বিপ্লব, বর্তমান সময়ে একটা বিপ্লব চলতেছে তার নাম হলো প্রযুক্তিগত বিপ্লব।এই বিপ্লব আমাদের পুরো পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমাদের জীবনও পরিবর্তন এর ছোঁয়া লেগেছে এই বিপ্লব এর জন্য।
বিজয় আসবে যদি আপনার দৈনিক কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে। অনুপ্রেরণামূলক গল্প আমাদেরকে শিখায় কি করে জীবন কে গড়ে তুলতে হয়। আপনি কি জানেন একজন মানুষ সফল হতে হলে তার প্রচুর পরিশ্রম এবং আটুট ভরসা আর ধৈর্য নিয়ে অনেক পথ পাড়ি জমাতে হয় তখনই সফলতার দেখা পাই।
আজকের এই পোস্টে জানবো, পৃথিবীর সেরা মোটিভেশনাল গল্প যা আপনাকে অনুপ্রেরণিত করতে সাহায্যে করবে।
পৃথিবীর সেরা মোটিভেশনাল গল্প যা আপনাকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে?
এই গল্পগুলো পড়লে আপনার জীবন পরিবর্তন আনতে সাহায্যে করবে।পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন মানুষের জীবনী পড়তে হয় তার মধ্যে কিছু উল্লেখ্য গল্প পড়লে আপনার জীবন পরিবর্তন আনতে সাহায্যে করবে।
Elon Musk : প্রযুক্তির আইরন ম্যান
আমরা আইরন ম্যানের মুভি দেখেছি, তবে বাস্তবে আমাদের পৃথিবীতে একজন আইরন ম্যান আছে যার নাম হলো ইলন মাস্ক।তার আবিস্কার স্পেস এর যাত্রাকে সহজ থেকে সহজ করে দিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন
নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয়: সাফল্যের জন্য নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করুন
খারাপ সময়ের পর ভালো সময় আসে: জীবন নিয়ে আশা রাখার (৫টি কারণ)
তার মধ্যে সবসময় কাজ করে নতুন কিছু তৈরী করার নেশা, ইলন মাস্ক স্পেসএক্স ও টেসলার মতো কোম্পানি তৈরি করেছে এগুলো তৈরি করতে তার কত সময় আর কষ্ট করতে হয়েছে। আমরা কষ্ট দেখি না তবে সফলতা দেখি।ইলন তার কোম্পানি x.com ( Paypal) ছিলো এটাকে বিক্রি করে ২ টা কোম্পানি জন্ম দেয় একটা হলো টেসলা আরেকটি SpaceX দিন আগে টুইটার ক্রয় করে নেই পরে সেটাকে x.com রূপান্তরিত করে।
তার জীবনি পড়লে মনে হবে গল্প পড়তেছি বা সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখতেছি, ইলন তার জীবন এমন ভাবে গড়েছে সবাই তার থেকে অনুপ্রেরণা নেই, বর্তমান তরুণদের আইডল তিনি। আপনি ইলন মাস্কে এর জীবনি পড়তে পারেন, তার দৈনন্দিন জীবনের কাহিনি আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
ইলন মাস্ক থেকে আমাদের শেখার অনেক কিছু আছে, প্রতিটি কর্ম মানুষকে বড় হতে শিখায়, কঠোর পরিশ্রম এবং হাজারো ব্যর্থতা কাটিয়ে নিজেকে তুলে আনতে হবে তুলে আনতে পারলে সফলতা দেখা পাবেন। সফলতা রাতারাতি আসবে না, সফলতা একটা দীর্ঘ দিনের একটা যাত্রা মাত্র।
Serena Williams: শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই
আমাদের উপমহাদেশে ক্রিকেট সবাই পছন্দ করে, আপনি কি জানেন ইউরোপ আমেরিকায় টেনিস খেলা কত জনপ্রিয়। আজ এমন এক নারী কথা শেয়ার করবো সে তার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য জীবনকে নিয়ে গিছে এক অন্য পর্যায়ে।
সেরেনা উইলিয়ামস সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড়দের একজনের খেতাব অর্জন করেছে। তার মানসিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বাধা ভেঙে দিয়ে অর্জন করেছেন টেনিস এর শিরোপা।
শ্রেষ্ঠত্বে সবাই পাই না যে পাই সে বুঝে এটার মূল্য কেমন।
কোন কিছু অর্জন করতে হলে অনেক বাঁধা পাড়ি দিতে হয় তবে সেটা যদি কোন নারীর ক্ষেত্রে হলে তো কথায় নাই, অনেকে বলছে তার পক্ষে সম্ভব না Us Open Champions জয় করা, সে কিন্তু করে দেখিয়েছে বেশ কয়েকবার। অনেক কুসংস্কার, আঘাত এবং সমালোচনার মুখোমুখি কাটিয়ে তৈরি করেছেন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার গল্প।
মানুষের খারাপ সময় আসে,সেটা জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। খারাপ সময় যেকোনো মুহুর্ত হতে পারে তার জন্য মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়। আমাদের জীবন এমন ভাবে তৈরী করতে হবে যে জীবন মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা মূলক হয়।
Marie Curie: প্রথম নারী নোবেল জয়ী
মেরি কুরি প্রথম মহিলা নোবেল জয়ী, মহিলা বিজ্ঞানিদের জন্য একটা অনুপ্রেরণার বাতিঘর বলা হয়। মেরি প্রথম নারী যে কিনা একসাথে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নে নোবেল পান।
অনেকে মনে করে নারীরা বিজ্ঞানি হতে পারে না, তার উদাহরণ হলো এই নোবেল জয়ী।
তার গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্বের নতুন মান স্থাপন করেছে, রেডিয়াম এবং পোলোনিয়ামের আবিষ্কার শুধুমাত্র রেডিওথেরাপির প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
লিঙ্গ বাধা মানে না, যে কোন লিঙ্গ এর মানুষ যে কোন কাজ করতে পারে এটা হলো তার বাস্তব উদাহরণ।
তার জীবন মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নারীরা ও পিছিয়ে নাই ।এই গল্প আমাদের শিখায় ইচ্ছা থাকলে সব কিছু করা সম্ভব।চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল পাওয়া হলো আমাদের জীবনকে সহজ করে দেওয়া।
Oprah Winfrey : গরিব থেকে বড় লোক
স্বপ্ন হবে বাস্তব যদি করতে পারেন পরিশ্রম, অপরাহ হলো আমেরিকান স্বপ্ন এর মূর্ত প্রতীক, তার শৈশব ছিলো কষ্ট এর দ্ররিদতা, এই দরিদ্রতা পার করতে মানুষ জীবন পযন্ত দিয়ে দেয় অনিহার কারণে। অপেরাকে চিনেন না এমন মানুষ কমই আছে, দারিদ্র্যতা কাটিয়ে জীবন কে করেছে আমেরিকার প্রভাবশালী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
অপরাহ শুধুমাত্র একটি মিডিয়া সাম্রাজ্যই তৈরি করেননি বরং তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষা ক্ষেত্রে ও এগিয়েছে অনেক আমেরিকান। তার বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান নারী ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রচার করতো। তার গল্পটি একটি প্রমাণ যে নিজের প্রতি দৃঢ় সংকল্প এবং বিশ্বাসের সাথে, ভবিষ্যতের গঠন এবং অর্থপূর্ণ উপায়ে বিশ্বকে প্রভাবিত করা সম্ভব।
Jack ma: হার না মানার এক গল্প
জ্যাক মা চাইনিজ বিজনেস ম্যাগনেট। আলিবাবার প্রতিষ্টাতা হলো জ্যাক, তার নাম টা অনেক সুন্দর, তার নাম শুনলে মনে হবে সে আমেরিকান নাগরিক আসলে এমন টা না।জ্যাক হলো চীনের বাসিন্দা। আমেরিকার এক দম্পতির তার নাম দেন জ্যাক।
এক সময় জ্যাক ট্রাবেল গাইড হিসেবে কাজ করতো, আমেরিকান টুরিস্ট চীনে যখন ঘুরতে যাই জ্যাক তাদেরকে গাইড হিসাবে কাজ করতো।
ওইখান থেকে তার যাত্রা শুরু, ইংরেজিতে মোটামুটি পারদর্শী হ’য়ে ওঠেন টুরিস্ট গাইড হওয়ার কারণে।
একটা সময় KFC যখন চীনে তাদের জনবল নিয়োগ দিচ্ছিলো সেখানে ২৩ জন লোক নিবে, ওই ইন্টারভিউতে ২৪ জন লোক গিয়েছে ২৩ জনের চাকরি হয়েছে কিন্তু জ্যাকের চাকরি হয় নি, শুধু এটা না পুলিশের চাকরি ক্ষেত্রে ও একই ঘটনা ঘটে ৬ জন পুলিশের এর মধ্যে ৫ জনের চাকরি হয় শুধু মাত্র তার হয় নাই। এটা হলো তার ভাগ্য। কিন্তু তাঁকে কেউ আটকে রাখতে পারে নাই, সে প্রতিষ্টা করেছে আলি পে, আলিবাবা মতো প্রতিষ্ঠান।
সাফল্য আসবে যদি নিজের মধ্যে সফলতার বীজ তৈরী করতে পারেন। সফলতা কাউকে বলে আসে না সাফল্যের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য আর ভরসা এটা কাটিয়ে ওঠতে পারলে আপনি সফল।
সর্বশেষ, এই পোস্ট থেকে আমরা জানলাম কি করে দারিদ্র্য কে হার মানিয়ে জীবনকে গড়ে তুলতে হয়। জীবনকে গড়ে তুলতে হলে নিজের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়তে হবে। আপনার সেরাটা দিতে পারলে আপনার জীবনকে গড়ে তুলতে পারবেন বিশ্ব ব্যাক্তিত্বর মানুষ।
এই পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আরেকজন জানতে পারবে।